Thursday, April 23, 2015

ইনফোরটেইনমেন্ট চাটনি - শ্বেতা বসু প্রসাদ

এই লেখাটা এ.বি.পি ব্লগে সাবমিট করেছিলাম অনেকদিন আগে। বোঝাই যাচ্ছে পাবলিশও হবে না আবার রিজেক্টও হবে না।
======================

বড় মিডিয়াকে করে কম্মে খেতে হয়। মাল বেচতে হয়।  বড় মিডিয়াকে মেইনস্ট্রীম মিডিয়া বলে উল্লেখ করায় এক অগ্রণী লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক আমার সাথে তুমুল ঝগড়া করেছিলেন। শেষে রফা হয়েছিল 'বিগ মিডিয়া' শব্দবন্ধে।  ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি খবরের কাগজের বিশেষ করে সান্ধ্য কাগজের এক নিশ্চিত চাটনি হল গিয়ে রেপের খবর। অনেকে শুধু ওইটুকু পড়ার জন্যই আট আনা খরচা করে অফিস থেকে ফেরার পথে একটা কাগজ নিয়ে যেতেন।

এ যুগে খবরের কাগজের পাশাপাশি আছে নিউজ পোর্টাল। এবিপি আনন্দের পোর্টালটা দিনে অন্তত একবার ঘুরে যাওয়ার একটা বাড়তি গোপন তাগিদের কারন হল পোর্টালের ডান দিকের স্লাইড শো এর লিঙ্কগুলো। বেশ সুন্দর একটা মাখো মাখো ধরি মাছ না ছুই পানি ইসটাইলে ইনফোরটেইনমেন্ট।

সেদিন হঠাৎ চোখ আটকে গেল শ্বেতা বসু প্রসাদের ছবিতে। বা বেশ নাদুস নুদু্স দেখতে হয়েছে তো। তা মেয়েটা বেশ্যাবৃত্তির দায়ে ধরা পড়ল!

আমার ৬ বছরের মেয়ে শ্বেতা বসু প্রসাদ নামটা জানেনা। ওর কাছে বাস্তব হল চুন্নি যার সাথে ও নিজেকে একাত্ম মানে যাকে বাংলায় বলে আইডেনটিফাই করে। ও নিজে সাজে চুন্নি আর ওর ছোটো ভাইকে সাজায় মুন্নি আর তারপর ওরা খেলে মাকড়ি।

একদিন ও বড় হবে - জানতে পারবে ওর নাম চুন্নি না শ্বেতা বসু প্রসাদ। জানবে ওর গল্প। হয়তো জানবে শ্বেতা বসু প্রসাদ দাম চুকিয়েছিল - শিল্পী নয় সেলিব্রিটি হবার দাম।

আমার লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক বন্ধুটি আপোষ করেননা। তিনি কখনো কোনো মেয়ের ছবি ছাপেন না বিক্রি বাড়াবার জন্য। কিন্তু এবিপি ছাপে, মেইনস্ট্রীম মিডিয়া ছাপে। এই ছবির আড়ালে চাপা পড়ে যায় শিল্পী থেকে সেলিব্রিটি হবার গল্প।

আঙ্গুলটা কার দিকে তুলবো? মিডিয়ার দিকে? যে মিডিয়া আমাকে ভাবতে শেখায়? নাকি নিজের দিকে কারন আমিই সেই কনজিউমার যে মিডিয়াকে বাধ্য করি এই শেষ পাতের চাটনি খাওয়াতে !!!

প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তর .....

No comments:

Post a Comment