Monday, March 9, 2015

অভিজিত রায় – দু একটি কথা

শহিদ অভিজিত রায় অমর রহে। অভিজিত রায়কে হারানোর যন্ত্রণা এবং ভয় প্রায় নিজেকে হারানোর ভয়। এ হত্যাকাণ্ডকে কি ভাষায় কনডেম করবো সত্যিই বুঝে উঠতে পারছিনা। প্রকাশ্য বইমেলায় এরকম নারকীয় একটা নাটক বিহ্বল করে দিয়েছে সকলকে এবং আমাকেও। অভিজিত বায় সেইসব শহিদদের মধ্যে একজন যাদের বলিদানের উপরে দাঁড়িয়ে আমি এবং আমরা সকলে, এমনকি রাষ্ট্র নিজেও।

কিন্তু শুধু এটুকু বলেই থেমে যাওয়ার হলে একটা লেখার বদলে একটা সিগনেচার ক্যাম্পেইনে সই করলেই চলত। এ প্রসঙ্গে আরও কিছু বলার আছে।

প্রথমেই স্পষ্ট করে বলতে চাই আমি অভিজিত বায়ের দর্শনে বিশ্বাস করিনা। কেন কি ব্যাপার সেসব বিস্তারিত আলোচনা এক্ষেত্রে  অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু তফাতটা নির্দেশ করা জরুরী কেননা সেটা এই লেখার একটা অন্যতম বড়ো কারন। নাস্তিকতাকে সমর্থন করিনা কিন্তু নাস্তিকতার অধিকারকে সমর্থন করি।

খবরটা পাওয়ার পর সন্ধ্যাবেলা যখন বন্ধুরা একজোট হলাম তখনও সবাই দারুন আপসেট। তারই মধ্যে আড্ডার মধ্যে সবাই মোটামুটি দুটো বিষয়ে একমত হলো। প্রথমত এর মানে আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি প্রায় কোনই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছেনা এবং দ্বিতীয়ত বা বলা ভালো প্রথম ভাবনার লজিকাল কনসিকুয়েন্স আপাতভাবে উল্টো পুরান মনে হলেও – রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস গণতন্ত্রকে প্রায় পুরোপুরি কণ্ঠরোধ করে রেখেছে।

এদিকে ফেসবুকের কল্যানে দেখতে পাচ্ছি বিভিন্ন মানুষ নেমে পড়েছেন এর প্রতিবাদে। কিন্তু তাদের প্রত্যেকেই বিভিন্ন কারনে এ-ঘটনার সাথে একাত্মতা অনুভব করছেন। নেপথ্যের এই কারনগুলি কখনো কখনো মুখ্য হয়ে উঠে শহিদের অমর্যাদা করছে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ সমাজের বিবর্তনে ছাপ ফেলে যাচ্ছে। এই কারনেই এই নেপথ্যের কারনগুলিকে লজিকালি এবং খোলা মনে আলোচনা করার প্রয়োজন আছে।

নাস্তিকতা প্রচারক এবং মার্কসবাদীরা প্রতিবাদীর প্রথম সারিতে আছেন। প্রতিবাদের মিছিলে তাদের সাথে পা মিলিয়েও বলতে চাই এই হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই নাস্তিকতা বা/এবং মার্কসবাদকে সপ্রমাণ করেনা বা আপামর ছোটলোকদের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতাকে বিন্দুমাত্র বাড়ায় না। সত্যি কথা বলতে কি কোনও ছোটলোক কোনও মার্কসবাদী বা নাস্তিক-কুলপতির কাছে প্রথমবার অভিজিত রায়ের নাম শুনতে হেঁটে হেঁটে কলেজ স্ট্রীট চত্বরে হাজির হবেনা। বরং প্রথমবার সে নামটা শুনবে তার ধর্মবিশ্বাসের ঠিকাদারের কাছে – গেরুয়া নয়তো সবুজ রঙের কারবারিদের কাছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের ইতিহাসের পাতায় পাতায় প্রমাণ আছে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে দুই দেশের মৌলবাদী শক্তি।

গেরুয়া শিবির কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলছে কিন্তু তাদের কথা আধা সাচ্ যা নির্জলা মিথ্যার থেকে বহুতর গুনে বিপদজনক। আর মার্কসবাদী এবং প্রগতিশীলরা গোটাটাই উড়িয়ে দিচ্ছেন চক্রান্তের তত্ত্ব দিয়ে। সত্যিকে স্বীকার করছেননা ফলে বিশেষত পশ্চিমবঙ্গে ছোটলোকদের কাছে তাদের গ্রহনযোগ্যতা বিন্দুমাত্র বাড়ছেই না বরং তারা আরও বেশি করে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। বুঝি ভোট-ব্যাঙ্ক বড় দায় কিন্তু দাদা অন্তত আপকে দেখে শিখুন। পাবলিককে এতটা ইয়ে ভাবছেন কেন? আপ তো দেখালো ইমামের সমর্থন ভোটের আগে বিবৃতি দিয়ে কনডেম করেও ৭০ এ ৬৭ হয়। আর কাকে কি বলছি, এনারাতো এমনকি প্রকাশ্যে সামনেই আসতে চান না নেপথ্যে থেকে ইন্দ্রজিতের মতো বান চালান। অর্থাৎ পার্টির এবিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই ভাবটা এমন যে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ অন্য ব্যাপারে ব্যস্ত কিন্তু বাচ্চারা মানে ছাত্রফ্রন্ট ইত্যাদি ওরা এটা নিয়ে মুভ টুভ করছে ওদের আমরা সন্ধ্যাবেলা পার্টি অফিসে গাইড করে দেব। আরো বড়রা আবার স্পনসরড সেকুলার মুসলিম খুঁজে নেন সিভিল সোসাইটিকে নেতৃত্ব দেবার জন্য।

ইসলাম আজ সারা পৃথিবীর গণতান্ত্রিক মানুষের প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। তাকে দায় নিতে হবে আই-এস, তালিবান, জামাতের নারকীয়তার। সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে পলিটিকাল ইসলাম আর তার সন্ত্রাস এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হতে চলেছে। আমাদের এখানে সেই কবে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় রামায়ণ নিয়ে কমিক করে গেছেন। ভানুর নব রামায়ণ শুনেছেন এমন মানুষের সংখ্যা অভিজিত রায় পড়েছেন তেমন মানুষের চেয়ে অন্তত এক লাখ গুন বেশি। বা অমিতাভ বচ্চন হরি বোলের সাথে কোমর দুলিয়ে নেচে গেছেন। কিংবা ধরুন হাল আমলের দেব – ইনিও তো পিছিয়ে নেই। কিন্তু এসব কোনও কিছুই কিছুই ঘটাতে পারেনি। দলে দলে লোক নাস্তিকও হয়নি আবার চপার তুলে মারতেও আসেনি। সবই হজম হয়ে গেছে বাঙলার ভাবের কাছে – প্রেমের সাগরে ভেসে গেছে আস্তিক নাস্তিক ভেদাভেদ। এই ভাব যা ইসলামকে খুঁজে পায় লালনের গানে, কুবীর গোঁসাইয়ের গানে। এই ভাব যে জানে দিল দরিয়ার মাঝে যে এক আছে মজার কারখানা। ইসলামের রাখওয়ালাদের কাছে প্রশ্ন – শরিয়তের অপর যা খুঁজে পাই সুফিতে, মুতাজেলাবাদীর মধ্যে তারকি কোনও স্থান নেই? বাংলায় ইসলামের প্রকাশ এবং প্রসার ঘটেছে সুফিতে, প্রেমের সাগরে। যখন হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদ ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই দেয়নি তখন ছোটলোকরা হাতে চপার তুলে নেয়নি, ইসলামের প্রেমের সাগরে ভেসে গিয়েছে গানের মধ্যে দিয়ে। সেই শরিয়তি কোরান হাদিসের রাখওয়ালাদের কাছে প্রশ্ন – কেন তাহলে আজ এই সময়ে একের পর এক এক দরগা চলে যাবে মসজিদ এবং শরিয়তি ইসলামের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে? এক সময় যে মৌলবিরা একের পর এক ফকিরকে নৃসংসতমভাবে খুন করেছে, কোন অধিকারে এবং কি উদ্দেশ্যে তারা আজ একটার পর একটা দরগাকে রূপান্তরিত করছে মসজিদে? কোন অধিকারে তারা হিন্দু এবং মহিলা ভক্তের প্রবেশ এবং অধিকার নিয়ন্ত্রণ করছে? কেন আজও কোনও কোনও মুসলিম প্রধান এলাকায় তোলা যাবেনা ভারতের জাতীয় পতাকা? কেন বাংলাদেশের বাংলা ভাষার এত ব্যাপক ইসলামাইজেশন হবে? একের এক আরবি, ফার্সি আর উর্দু শব্দের দাপটে কেন কোণঠাসা হয়ে পড়বে বাংলা শব্দ ভাণ্ডার? কেন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে যাত্রা শুরু করেও বাংলাদেশকে হয়ে যেতে হবে ইসলামী রাষ্ট্র? কেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ স্বত্বেও বাতিল হবেনা অষ্টম সংবিধান সংশোধন? কেন সে আজও হয়ে উঠতে বা বলা ভালো স্বপ্ন দেখারও সাহস দেখাতে পারবেনা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হয়ে উঠবার? কেন বারবার অভিযোগ উঠবে মাদ্রাসার আড়ালে সন্ত্রাসের কারবারের? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ – কেন ইসলাম হয়ে উঠবে অর্থনীতির এবং সেই সূত্রে রাষ্ট্রক্ষমতার এক গুরুত্বপূর্ণ কারবারি? – শেষ প্রশ্নটির ক্ষেত্রে আরও একটু ভাববার অবকাশ আছে সেকথাও আসবে।

বটমলাইন – শরিয়তি ইসলামের কাছে প্রশ্ন “আপনারা কি আর কোনও অপরের অস্তিত্ব ই স্বীকার করবেন না? আপনারা কি এমনকি ডায়লগে বিশ্বাসই করেন না?”

দেশভাগ বাঙালীর জাতির ইতিহাসের এক চরম ট্র্যাজেডি। সুতরাং বাঙালী জাতিসত্তার ক্ষেত্রে হিসাবের ম্যাপ পলিটিকাল ম্যাপ অনুসারী হবে না। বাঙালী জাতিসত্তা খণ্ডিত ভাবে দুই রাষ্ট্রেই বর্তমান – বাংলাদেশ আর ইন্ডিয়া। হ্যাঁ ইন্ডিয়া, ওপার বাঙলা বা পশ্চিমবঙ্গ নয় ইন্ডিয়া। হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদ পদে পদে ওপার বাঙলাকে ছোটো করেছে। ঢাকা ইউনিভার্সিটির জন্মলগ্ন থেকে আজও এপারের কলকাত্তাইয়া হিন্দু এলিট ব্রাহ্মণ্যবাদ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বা অনেকাংশে সফলও হচ্ছে ঢাকা তথা গোটা বাংলাদেশকে তার উপনিবেশ বানাতে।সচেতনভাবেই দীর্ঘকাল সে আটকে রেখেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক এবং তার সাথে সম্পৃক্ত পণ্য সংস্কৃতির বিকাশকে। সেই মুক্তিযুদ্ধের সাহায্যের রিপেমেন্টের খুড়োর কল দৌড়ে যাচ্ছে গত ৪৩ বছর ধরে। কে কবে কোথায় কটা হিন্দু ভারতীয় লেখা দেখেছেন এর মুখোশ টেনে ছিঁড়ে পেছনের জন্তুটাকে বের করে আনতে? কটা হিন্দু ভারতীয় লেখা পেয়েছেন যেখানে শাহবাগে হিন্দু-খ্রিস্টান-জিয়োনিস্ট লবির সম্ভাব্য মদত প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে? যে এনটিপিসি বাংলাদেশের একমাত্র বনভূমি আমাদের প্রিয়তমা সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছে তাকে প্রতিরোধ করাতো অনেক অনেক অনেক পরের কথা, ইস্যুটা তোলার সাহস এপার বাঙলার কোন পলিটিকাল পার্টি বা গ্রুপ দেখাতে পারবেন? খোঁজ নিয়ে দেখুন সব পার্টিরই পলিটব্যুরো যাদবপুর-প্রেসিডেন্সির মিলি ঝুলি বামুন কায়েত সরকার।

এই ঢ্যামনামোর শেষ নেই। বাংলাদেশের বাঙালীর কাছে কলকাতা হলো গরীবের নিউ-ইয়র্ক আর এপার বাঙলা হলো গরীবের আমেরিকা। আর এপার বাংলার হিন্দু অহমিকায় বেশ ভালো হাওয়া পড়ে। পাল খাওয়া গরুর মত হাম্বা রবে সে ঘোষণা করে ম্যায় ইন্ডিয়ান হুঁ, ইন্ডিয়ান। আর ওরা সব বাঙালের বাচ্চা, কাটার বাচ্চা ইত্যাদি। এখানেও আবার নো-ম্যানস ল্যান্ডে বসে আছে বা বলা ভালো তাড়া খেয়ে, গুলি খেয়ে বসবাস করছে বহু ছোটলোক যারা কোনোকিছুই বলতে পারেনা।

সেই অর্থে দেখতে গেলে একথা বলা কি খুব অন্যায় হবে যে একটা এলিট ঔপনিবেশিক হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদই অভিজিত বায়ের মৃত্যুর কারন না বরং কারনের উৎস।

অভিজিত রায় একজন আদর্শ এলিট বাঙালী ছিলেন। তিনি যোগ্যতম এলিটদের মধ্যে পড়েন। স্বাভাবিকভাবেই উনি  আমেরিকান সিটিজেন ছিলেন।কিন্তু এপার বাংলার প্রতিবাদের আড়ে বহরে শ্রী দেখে কুটিল প্রশ্ন জাগে – তবেকি আমেরিকান সিটিজেন এটাই এই গোটা প্রোগ্রামটার ইউএসপি? কে বড়? অরুন্ধতী রায় না নিউ ইয়র্ক টাইমস?

এত সবের পরও আবার ফিরে আসতে হয় ইসলামের কাছে। আজ আমেরিকাতে তৈরি শুধু না বাম্পার হিট হচ্ছে সাংস্কৃতিক সঙ্কটকে বেআবরু করে দেওয়া ছবি – অভতার বা ফাইট ক্লাব। পণ্য সংস্কৃতির গোলকধাঁধায় ক্লান্ত কনফিউজড, ডিপ্রেসড, অবসেসড এবং পিসড অফ কনজিউমার জবাব চাইছে আধুনিকতার কাছে এর শেষ কোথায়? মার্কসবাদ উত্তর যুগে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কাছে ইসলাম একমাত্র গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ। প্রকৃতির কোলে লুকিয়ে থাকা আদিবাসী অস্তিত্বের উপরে মাইনিং আর আধুনিকতার আকা পণ্য-সংস্কৃতির প্রসারের আক্রমণের সময় এগিয়ে আসে ইসলাম। হয়তো ইসলাম আছে তাই নয়তো ছোটলোকদের একটা বিরাট বড় অংশ মরে হেজে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেত।  
সেদিন খবরটা পাওয়ার পর ভারী মনে চা খেতে এসেছি। দেখি মকসেদ ধরল। কি হয়েছে গো? মন খারাপ? মকসেদ একজন রিকশাওয়ালা, মুসলমান এবং আমার খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু অভিজিত রায় সম্পর্কে সে দুর দুর তক কিছুই জানেনা। যদিও আমি অভিজিত রায়কে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম না কিন্তু সরলীকরণের স্বার্থে বললাম আমার একজন চেনা প্রিয় বন্ধুকে ঢাকাতে বইমেলাতে খুন করা হয়েছে। মকসেদ জিগালো কে মারছে? আমি বললাম ওই রাজাকাররা। খানিকটা চুপ করে থেকে মকসেদ বলল মন খারাপ কইর না, শোনো গান শোনো। এই বলে ও ওর মোবাইলটা স্পিকারে অন করে দিয়ে বাজিয়ে দিল আল্লাহ কে বান্দে গানটা।গানটা শুনতে শুনতে যেন সত্যিই মনে হল আল্লাহর পয়গাম পেলাম।অভিজিত রায় আল্লাহ কে বান্দে ছিলেন।তার হত্যার বদলা চাই। চূড়ান্ত হিংসার বদলা চূড়ান্ত প্রেম। একটা খুনের বদলে চাই এক নয় হাজারো গান।

আমার হাতে যদি আলাদীনের চিরাগ থাকতো তবে জিনকে হুকুম করতাম লাগাও ফকির উৎসব। হোক লালন, হোক কুবীর গোঁসাই হোক ফকির। আর এটা করতে হবে কলেজ স্ট্রীট পাড়ায় না, দেগঙ্গায়, মুর্শিদাবাদে, গার্ডেনরিচে আর ঠিক সেই সেই জায়গায় যেখানে হিন্দু ধর্মের ঠিকাদাররা গিয়ে উপস্থিত হবে গুজবের মাধ্যমে ঘৃণা ছড়াতে।
শুনেছি চিরাগের দৈত্যের সাথে আংটির দৈত্য ফ্রি। তাহলে ওকে বলবো যাও ফেসবুকে একটা ইভেন্ট পোস্ট কর আর সারাদিন ধরে অক্লান্তভাবে কমেন্ট করে যাও। তোমার টার্গেট হলো বিরাট কোহলির টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যার থেকে ১ বেশি।

সুমনের সেই সূর্য বলল ইস গানের তালে তাই বলতে ইচ্ছা করে ভাগ্যিস অভিজিত রায়ের হত্যাকারীরা ছিল নয়তো আধুনিকতার এই তাসের ঘর আকা রাষ্ট্র কবেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়তো!